Site icon DH News

রাতের অন্ধকার কি বাংলাদেশকে গ্রাস করে নেবে?

Adani Bangladesh Powerplant

Adani Bangladesh Powerplant

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার আর আদানি গ্রুপের সাথে যে গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক শুরু হয়েছে তা বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ভবিষ্যৎ, অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলে।
ভারতে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম এবং পরিবেশগত লঙ্ঘনের অভিযোগের ফলে বাংলাদেশে এর প্রকল্পগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ বেড়ে গেছে।

বাংলাদেশ বর্তমানে শক্তি খাতে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দ্রুত শিল্পায়ন এবং নগরায়ণের ফলে শক্তির চাহিদা বেড়ে গেছে, যা বিদ্যমান পরিকাঠামোর উপর বিপুল চাপ সৃষ্টি করেছে। প্রায়ই বিদ্যুৎ বিভ্রাট এবং শক্তির রেশনিং দেখা যায়, যা ব্যবসা এবং দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলে। প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুত হ্রাস পাচ্ছে, যার ফলে সরকার কয়লাকে একটি অস্থায়ী সমাধান হিসেবে গ্রহণ করছে।

কয়লাভিত্তিক শক্তির পরিবেশগত ফলাফলগুলি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠের উর্ধ্বগতির ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকির সম্মুখীন। কয়লায় নির্ভরতা বাতাসে কেবল গ্রীনহাউস গ্যাসের নিঃসরণ বাড়ায় না, বরং স্থানীয় পরিবেশ এবং সম্প্রদায়ের জন্যও হুমকি সৃষ্টি করে। সমাজকর্মীরা কিন্তু নবায়নযোগ্য শক্তি উৎস, যেমন সৌর ও বায়ু শক্তির দিকে স্থানান্তরের জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন।

যখন বাংলাদেশ আদানি বিতর্কের কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করছে, তখন এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ কি জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা থেকে অন্ধকারের দিকে যাবে, নাকি এটি নবায়নযোগ্য শক্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ গ্রহণ করবে?
এদিকে সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে, বিদ্যুৎ বন্ধ করার হুমকি শোনার পর থেকেই সুর নরম বাংলাদেশের, বকেয়া ৭২০০ কোটি ফেরতের আশ্বাস। ইউনুসের প্রেস সচিব স্বীকার করে নেন, বিদ্যুৎ পাঠানোর জন্য আদানি গ্রুপকে যে টাকা দেওয়া উচিত, তার অনেকটাই বকেয়া পড়ে আছে। এখন দেখার বাংলাদেশ সরকার কত দ্রুতগতিতে এই সমস্যার সমাধান করতে পারে নতুবা অদূর ভবিষ্যতে রাতের অন্ধকার বাংলাদেশকে পুরোপুরি গ্রাস করে নেবে!

Exit mobile version