বার্সেলোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োজিওকেমিস্ট আন্দ্রেয়া বুটুরিনি এবং তার সঙ্গে এক দল বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে মঙ্গল গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব রয়েছে। মঙ্গলে মাটির নিচে জমে থাকা জল এবং মঙ্গলকৃষ্ঠের উত্তাপ মাইক্রোবিয়াল অর্থাৎ জীবাণুদের কার্যকলাপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের করে। মঙ্গল গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও বিজ্ঞানীদের মঙ্গল গ্রহে পাঠানো রোভার থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে গবেষণা করে জানা গেছে মঙ্গল গ্রহের উত্তর গোলার্ধে একটি বিশাল সমতল ভূমি রয়েছে যেখানে মিথেন উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণা অনুযায়ী মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে মিথেনের উপস্থিতি, এই দাবিকে আরো জোরালো করছে। এই প্রকারের ব্যাকটেরিয়া পৃথিবীতে কঠিন পরিবেশে যেমন, উচ্চ তাপমাত্রা এবং অত্যধিক লবণাক্ত অবস্থায় বেঁচে থাকতে সক্ষম। এমনকি আগ্নেয়গিরির উচ্চতাপ যুক্ত পরিবেশেও এই ধরনের ব্যাকটেরিয়াদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে গেছে। সুতরাং এটা জোর দিয়ে বলা যায় না যে মঙ্গল গ্রহে কখনো প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না বা এখনো নেই। এক্ষেত্রে আমেরিকান জ্যোতির্বিজ্ঞানী পার্সিভাল লোয়েল এর বক্তব্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার মতে “মঙ্গলের খালগুলি প্রমাণ দেয় যে সেখানে জীবন রয়েছে।”
মঙ্গল গ্রহটি এতটাই বড়, ইউরোপীয় স্পেস এজেন্সির রোজালিন্ড ফ্রাঙ্কলিন রোভার, যা ২০২৮ সালে উৎক্ষেপণ করার পরিকল্পনা রয়েছে, তারও সম্ভাব্য অবতরণ স্থল গবেষকদের চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে এই গবেষণা শুধু মঙ্গল গ্রহে জীবনের অস্তিত্ব নিশ্চিত করবে না, ভবিষ্যতে এলিয়েন গবেষণাতেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হয়ে উঠবে।